কবুতরের/পাখির ডিমের আটকানোর (Egg binding )
ডিমের আটকানো (Egg binding) মাদি কবুতরের/পাখির অন্যতম সমস্যা। ডিম পাড়ার সময় এটি cloaca এর কাছাকাছি এসে অথবা আরও ভিতরে প্রজনন নালির মধ্যে আটকে থাকতে পারে। এটি একটি সাধারণ এবং সম্ভাব্য গুরুতর অবস্থা নির্দেশ করে। ডিম আটকানো (Egg binding ) সাধারণত তরুণ মেয়ে পাখির হয় বেশি যদিও ক্রনিক ডিম পাড়ার এই অগণ্য স্বাস্থ্য সমস্যা ক্যালসিয়াম ও পুষ্টির অভাবেও হয়, যা hypocalcaemia হিসাবে পরিচিত। এর ফলে জরায়ুর পেশীগুলো দুর্বল হয়ে যায়,যে কারনে জরায়ু ভিতর ডিম ধাক্কা দিতে অক্ষম হয়। এটা অত্যধিক ডিম পাড়ার কারনেও হতে পারে।
ডিম আটকানোর (Egg binding ) কারনে যে সব লক্ষণ ও উপসর্গ প্রদর্শিত হতে পারে মধ্যে নীচে কয়েকটি তালিকা দেওয়া হল:
• দ্রুত বা জড়তাপূর্ণ শ্বাস বা শ্বাস সমস্যা।
• উদর জোরে টানাটানি।
• কোষ্ঠকাঠিন্য ভাব।
• পিছনে ফোলা ভাব।
• উইংস ঝুঁকিয়া পড়া ।
• পালকে তালগোল পাকান ।
• ফোলান তলপেট ।
• প্রশস্ত ভঙ্গিমা ।
• নৈমিত্তিক আকস্মিক মৃত্যু।
• পুচ্ছ/লেজ নড়ান বা নামিয়ে রাখা।
• ডিপ্রেশন.
• খাঁচার মেঝেতে বসা।
• পা অবস বা পক্ষাঘাত। (যদিও অন্য কারনেও পা অবস বা পক্ষাঘাত হতে পারে।)
ডিম আটকানোর কারণ:
১) কম ক্যালসিয়াম স্তর বা Hypocalcaemia সিন্ড্রোম।
২) অপুষ্টি।
৩)অসুস্থ এবং বৃদ্ধ পাখি।
৪) ছোট খাঁচা বা বেশি ডিমে তা বা ডিম পাড়া অথবা বেশি বাচ্চা পালন।
৫) বড় আকার ডিম।
৬) সঙ্গি বিহীন একা পাখি।
৭) অন্য কবুতর দ্বারা বিরক্ত থেকে।
৮) বিশেষ কিছু রোগের সংক্রমণ।
৯) জরায়ুর সংক্রমণ ।
১০) জরায়ুর টিউমার ।
ডিম আটকানো প্রতিরোধে করণীয়:
ক) ঘনঘন ডিম পাড়ার থেকে আপনার পাখিকে নিরুত্সাহিত / বন্ধ করতে পারেন।
খ) ভবিষ্যতে স্বাভাবিক ডিম পাড়ার বাবস্থা জোরদার এবং ডিমের আটকানো (Egg binding ) প্রতিরোধে উচ্চ ক্যালোরি, উচ্চ ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার প্রদান করতে হবে।
গ) সম্ভব পাখির সাইট অপসারণ নীড় তৈরি উপাদান
ঘ) loft এলাকায় উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করবেন না।(বিশেষ করে ডিম পাড়া ও তা দেবার সময়।)
ঙ) বর্ণালী আলো প্রদান।
চ) আপনার পাখি মধ্যে প্রজনন আচরণ নিরুত্সাহিত করা। প্রয়োজন হলে "সঙ্গী" থেকে পৃথক করা।
ছ) খাঁচার অভ্যন্তর পুনরায় সজ্জিত এবং খাঁচা অবস্থান পরিবর্তন করা।
জ) ব্রিডিং জোড়া কে নিয়মিত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিতে হবে। বিশেষ করে ডিম পাড়ার সম্ভাবনার সময়।
বিশেষ সতর্কতা:
নিজের আঙ্গুল বা চাপ দিয়ে ডিম বের করার চেষ্টা করবেন না, এটা আপনার পায়রার গুরুতর বা স্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। নালীর ভিতর সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ টিস্যুর সংক্রমণ বা ক্ষতি হতে পারে। বা ভিতরে ডিম ভেঙ্গে স্থায়ী সংক্রমণ হতে পারে। যা তৎক্ষণাৎ চিকিত্সা না করে ছেড়ে যাওয়া হলে – মৃত্যুও হতে পারে।
চিকিত্সা:
• হোমিও Pulsatilla mother, ৩ ফোটা অল্প একটু পানির সাথে ২ ঘণ্টা পর পর দিতে হবে।
• মেয়ে কবুতর কে হালকা (পরিশ্রান্ত) করার ব্যাবস্থা করতে হবে।
• সন্দেহভাজন ডিমের আটকানোর (Egg binding )ক্ষেত্রে মেয়ে পাখিকে একটি উষ্ণ এলাকায় রাখুন এবং প্রয়োজনীয় সহায়ক যত্ন প্রদান করুন।
• উষ্ণ জল স্নান করানোর ব্যাবস্থা করতে হবে ।
•বাথরুম এর ভিতর বা কোন রুমে একটি বাষ্পীয় রুম এর মত ব্যাবস্থা করতে হবে এবং তার মধ্যে পাখি রাখুন, 85-90 ডিগ্রী ফারেনহাইট / আর্দ্রতা: 60% তাপমাত্রা ভাল, অথবা গরম পানিতে ভিজান গামছা/তোয়ালে দিয়ে একটু সেঁকের মত ব্যাবস্থা করুন ।
•পেছনে পিচ্ছিলকারক পদার্থ হালকা করে দিয়া যেতে পারে এটি ভাল সহায়ক হতে পারে।
• তেল দিয়ে পেছনের এলাকায় পেশী ম্যাসেজ করতে হবে, মেসেজিং করার সময় খুব সাবধান কারন জোরে হলে ডিম ভিতরে ভঙ্গ হতে পারে যা জীবন নাশক হতে পারে।
• ডিমের সফল পাসিং এর জন্য স্যালাইনে পানি খাওয়ানোর বাবস্থা করতে হবে এবং অন্য কবুতর থেকে আলাদা করতে হবে ও শান্ত রাখতে হবে।
সাধারণত ১ ও ২ নম্বর চিকিৎসাতেই এ থেকে পরিত্রান পওয়া যায়। তারপর একটু বেশি সতর্কতা হিসাবে একটু বিশেষ যত্ন নিলে অনেক অনাখাংকিত পরিস্থিতি থেকে বাচা যাবে। উপরোক্ত সব ব্যাবস্থা একসঙ্গে নিয়ার দরকার নাই, যেকোনো দু একটা করলেই হয়।
আর একটা কথা, অনেক কবুতর প্রথমবার একটা ডিম দিয়ে থাকে, আবার অনেক কবুতরেএকসাথে দুইয়ের অধিক ডিম দিতে পারে , এ ধরনের ব্যতিক্রম হতেই পারে, আপনার বাড়তি টেনশন করার দরকার নাই ।
( বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কথা শুনে আপনার কবুতরের প্রাণনাশের কারন হবেন না, কথাটা দয়া করে একটু মনে রাখবেন।)
ডিমের আটকানো (Egg binding) মাদি কবুতরের/পাখির অন্যতম সমস্যা। ডিম পাড়ার সময় এটি cloaca এর কাছাকাছি এসে অথবা আরও ভিতরে প্রজনন নালির মধ্যে আটকে থাকতে পারে। এটি একটি সাধারণ এবং সম্ভাব্য গুরুতর অবস্থা নির্দেশ করে। ডিম আটকানো (Egg binding ) সাধারণত তরুণ মেয়ে পাখির হয় বেশি যদিও ক্রনিক ডিম পাড়ার এই অগণ্য স্বাস্থ্য সমস্যা ক্যালসিয়াম ও পুষ্টির অভাবেও হয়, যা hypocalcaemia হিসাবে পরিচিত। এর ফলে জরায়ুর পেশীগুলো দুর্বল হয়ে যায়,যে কারনে জরায়ু ভিতর ডিম ধাক্কা দিতে অক্ষম হয়। এটা অত্যধিক ডিম পাড়ার কারনেও হতে পারে।
ডিম আটকানোর (Egg binding ) কারনে যে সব লক্ষণ ও উপসর্গ প্রদর্শিত হতে পারে মধ্যে নীচে কয়েকটি তালিকা দেওয়া হল:
• দ্রুত বা জড়তাপূর্ণ শ্বাস বা শ্বাস সমস্যা।
• উদর জোরে টানাটানি।
• কোষ্ঠকাঠিন্য ভাব।
• পিছনে ফোলা ভাব।
• উইংস ঝুঁকিয়া পড়া ।
• পালকে তালগোল পাকান ।
• ফোলান তলপেট ।
• প্রশস্ত ভঙ্গিমা ।
• নৈমিত্তিক আকস্মিক মৃত্যু।
• পুচ্ছ/লেজ নড়ান বা নামিয়ে রাখা।
• ডিপ্রেশন.
• খাঁচার মেঝেতে বসা।
• পা অবস বা পক্ষাঘাত। (যদিও অন্য কারনেও পা অবস বা পক্ষাঘাত হতে পারে।)
ডিম আটকানোর কারণ:
১) কম ক্যালসিয়াম স্তর বা Hypocalcaemia সিন্ড্রোম।
২) অপুষ্টি।
৩)অসুস্থ এবং বৃদ্ধ পাখি।
৪) ছোট খাঁচা বা বেশি ডিমে তা বা ডিম পাড়া অথবা বেশি বাচ্চা পালন।
৫) বড় আকার ডিম।
৬) সঙ্গি বিহীন একা পাখি।
৭) অন্য কবুতর দ্বারা বিরক্ত থেকে।
৮) বিশেষ কিছু রোগের সংক্রমণ।
৯) জরায়ুর সংক্রমণ ।
১০) জরায়ুর টিউমার ।
ডিম আটকানো প্রতিরোধে করণীয়:
ক) ঘনঘন ডিম পাড়ার থেকে আপনার পাখিকে নিরুত্সাহিত / বন্ধ করতে পারেন।
খ) ভবিষ্যতে স্বাভাবিক ডিম পাড়ার বাবস্থা জোরদার এবং ডিমের আটকানো (Egg binding ) প্রতিরোধে উচ্চ ক্যালোরি, উচ্চ ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার প্রদান করতে হবে।
গ) সম্ভব পাখির সাইট অপসারণ নীড় তৈরি উপাদান
ঘ) loft এলাকায় উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করবেন না।(বিশেষ করে ডিম পাড়া ও তা দেবার সময়।)
ঙ) বর্ণালী আলো প্রদান।
চ) আপনার পাখি মধ্যে প্রজনন আচরণ নিরুত্সাহিত করা। প্রয়োজন হলে "সঙ্গী" থেকে পৃথক করা।
ছ) খাঁচার অভ্যন্তর পুনরায় সজ্জিত এবং খাঁচা অবস্থান পরিবর্তন করা।
জ) ব্রিডিং জোড়া কে নিয়মিত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিতে হবে। বিশেষ করে ডিম পাড়ার সম্ভাবনার সময়।
বিশেষ সতর্কতা:
নিজের আঙ্গুল বা চাপ দিয়ে ডিম বের করার চেষ্টা করবেন না, এটা আপনার পায়রার গুরুতর বা স্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। নালীর ভিতর সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ টিস্যুর সংক্রমণ বা ক্ষতি হতে পারে। বা ভিতরে ডিম ভেঙ্গে স্থায়ী সংক্রমণ হতে পারে। যা তৎক্ষণাৎ চিকিত্সা না করে ছেড়ে যাওয়া হলে – মৃত্যুও হতে পারে।
চিকিত্সা:
• হোমিও Pulsatilla mother, ৩ ফোটা অল্প একটু পানির সাথে ২ ঘণ্টা পর পর দিতে হবে।
• মেয়ে কবুতর কে হালকা (পরিশ্রান্ত) করার ব্যাবস্থা করতে হবে।
• সন্দেহভাজন ডিমের আটকানোর (Egg binding )ক্ষেত্রে মেয়ে পাখিকে একটি উষ্ণ এলাকায় রাখুন এবং প্রয়োজনীয় সহায়ক যত্ন প্রদান করুন।
• উষ্ণ জল স্নান করানোর ব্যাবস্থা করতে হবে ।
•বাথরুম এর ভিতর বা কোন রুমে একটি বাষ্পীয় রুম এর মত ব্যাবস্থা করতে হবে এবং তার মধ্যে পাখি রাখুন, 85-90 ডিগ্রী ফারেনহাইট / আর্দ্রতা: 60% তাপমাত্রা ভাল, অথবা গরম পানিতে ভিজান গামছা/তোয়ালে দিয়ে একটু সেঁকের মত ব্যাবস্থা করুন ।
•পেছনে পিচ্ছিলকারক পদার্থ হালকা করে দিয়া যেতে পারে এটি ভাল সহায়ক হতে পারে।
• তেল দিয়ে পেছনের এলাকায় পেশী ম্যাসেজ করতে হবে, মেসেজিং করার সময় খুব সাবধান কারন জোরে হলে ডিম ভিতরে ভঙ্গ হতে পারে যা জীবন নাশক হতে পারে।
• ডিমের সফল পাসিং এর জন্য স্যালাইনে পানি খাওয়ানোর বাবস্থা করতে হবে এবং অন্য কবুতর থেকে আলাদা করতে হবে ও শান্ত রাখতে হবে।
সাধারণত ১ ও ২ নম্বর চিকিৎসাতেই এ থেকে পরিত্রান পওয়া যায়। তারপর একটু বেশি সতর্কতা হিসাবে একটু বিশেষ যত্ন নিলে অনেক অনাখাংকিত পরিস্থিতি থেকে বাচা যাবে। উপরোক্ত সব ব্যাবস্থা একসঙ্গে নিয়ার দরকার নাই, যেকোনো দু একটা করলেই হয়।
আর একটা কথা, অনেক কবুতর প্রথমবার একটা ডিম দিয়ে থাকে, আবার অনেক কবুতরেএকসাথে দুইয়ের অধিক ডিম দিতে পারে , এ ধরনের ব্যতিক্রম হতেই পারে, আপনার বাড়তি টেনশন করার দরকার নাই ।
( বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কথা শুনে আপনার কবুতরের প্রাণনাশের কারন হবেন না, কথাটা দয়া করে একটু মনে রাখবেন।)
2 মন্তব্যসমূহ