কবুতরের কৃমি রোগ

কবুতরের কৃমি রোগ

কবুতরের কৃমি রোগ, কবুতরের কৃমি, কবুতরের কৃমির ওষুধ, কবুতরের কৃমির ওষধ, কবুতরের কৃমি রোগের লক্ষণ, কবুতরের কৃমি রোগের প্রতিকার, কবুতরের কৃমি রোগ কিভাবে হয়, কবুতরের কৃমি রোগের চিকিৎসা, কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা

কবুতরের কৃমি বা কিট রোগ।

আজকে আমি কবুতরের কমন একটা রোগের ব্যাপারে আলোচনা করবো আর সেটা হচ্ছে কবুতরের কৃমির সংক্রমন।কবুতরের শরীরে কৃমির সংক্রমন কবুতরের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে থাকে। কবুতরের মারাত্নক রোগের মধ্যে কৃমি রোগ অন্যতম। সময়মতো চিকিৎসা না করলে কবুতর মারা যেতে পারে।

আজকে কৃমি রোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো ।

কৃমি রোগের লক্ষণ:

১. পাখা ঝুল যাওয়া।
২.খাবার কম খাওয়া কিন্তু পানি বেশী পান করা।
৩. কবুতর দুর্বল হয়ে পড়া।
৪. বিষ্টার সাথে কৃমির টুকরা দেখা যাওয়া।
৫. ডাইরিয়ার মতো পানি পায়খানা করা।
৬. কবুতরের ওজন কমে যাওয়া।
৭. ফিতা কৃমির আক্রমন হলে শ্বাস কষ্ট হতে পারে।
৮. বমি হতে পারে।
৯. ডিমের ঋনাত্নক উর্বরতা ।

কৃমি রোগেরর কারণ
১. অপরিষ্কার খাবার খাওয়া ও পানি পান করা।
২.  থেকে বা অন্য কোনো কৃমি আক্রান্ত কবুতর থেকে হতে পারে।
৩. পুরাতন বিষ্টা এবং অপরিষ্কার বাসস্থান থেকে হতে পারে।

কৃমি রোগের প্রতিকার
১. কবুতরকে ছেড়ে না রাখা।
২. আক্রান্ত কবুতরকে আলাদাভাবে চিকিৎসা করা।
৩. নিয়মিত খাচা পরিষ্কার রাখা।
৪. পরিষ্কার খাবার ও পানি পরিবেশন করানো।
৫. ভালো জীবানু নাশক ওষুধ ব্যবহার করা।
৫. গরমে ২মাস পর পর কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়ানো।

কৃমির ওষধ

১. wormazole ছোটো পায়রার জন্য ২-৩ ফোটা, বয়স্ক কবুতরের জন্য ৪-৫ ফোটা। খুব ছোটো বাচ্চাকে কৃমির ওষধ খাওয়াবেন না।

২. Asca Pilla প্রতিটি পায়রার জন্য একটি ট্যাবলেট।
৩. Panacure ১টি ট্যাবলেটের ৪ ভাগের এক ভাগ।
৪. Avinex ১ লিটার পানির সাথে ১ গ্রাম মেশাতে হবে।



সতর্কতা

কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর পর গোটা কৃমি বের না হতে পারে, তার মানে এটা মনে করিয়েন না যে কৃমির ওষধ কাজ করে নাই।  কৃমির ওষুধ কৃমিকে গলিয়ে বের করে আনে। আর অল্প মাত্রায় কৃমি গোটা আকারে বেরিয়ে আসে। দামি ওষুধ ভালো আর সস্তা ওষুধ খারাপ সে ধারণাটা ভুল।

১. অতি গরমে কৃমি অষুধ খাওয়াবেন না। কৃমির ঔষধ একটু ঠাণ্ডার সময় দিবেন, সেক্ষেত্রে সকালে বা রাতে প্রয়োগ করবেন বা যেদিন বৃষ্টি বা আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকবে সেদিন দিবেন।
২. ছোটো বাচ্চা আছে এমন কবুতরকে খাওয়াবেন না।
৩. অসুস্থ কবুতরকে কৃমি ওষুধ খাওয়াবেন না।
৪.  একদম ছোটো বাচ্চাদের কৃমি ওষুধ খাওবেন না।
৫.  মানুষের কৃমির ওষুধ খাওয়াবেন না।
৬. ভ্যাকসিন করার পর কৃমির ওষুধ দিবেন না।
৭. অধিক মাত্রায় ওষুধ খাওয়াবেন না।




কৃমির ওষধ খাওয়ানোর আগে ও পরে করণীয়


১. কৃমির ওষধ দেয়ার আগে লিভার টনিক দিয়ে দিবেন, কারন কৃমির ওষুধ কবুতরের লিভার এবং কিডনিতে আক্রমন করে বেশি। লিভার টনিক হিসেবে হামদর্দ এর কারমিনা সিরাপ,  সিনকারা বা ইকটার্ন খাওয়াবেন।

২. কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর পর স্যালাইন দিবেন। তার পরের দিন মাল্টিভিটামিন দিবেন।
৩.  ওষুধ খাওয়ানোর পরে কবুতর হালকা দুর্বল হতে পারে। ঝিমানো এবং খাওয়া কমে যেতে পারে। ভয় পাবেন না, ঠিক মতো স্যালাইন আর ভিটামিন দিলে ঠিক হয়ে যাবে।
.
.

tag:কবুতরের কৃমি রোগ, কবুতরের কৃমি, কবুতরের কৃমির ওষুধ, কবুতরের কৃমির ওষধ, কবুতরের কৃমি রোগের লক্ষণ, কবুতরের কৃমি রোগের প্রতিকার, কবুতরের কৃমি রোগ কিভাবে হয়, কবুতরের কৃমি রোগের চিকিৎসা, কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

Md Sohag Hossan বলেছেন…
অনেক মূল্যবান পোস্ট, আমরা কি এই পোস্ট টি ফেইসবুক এ প্রচার করতে পারবো ?
Md Sohag Hossan বলেছেন…
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।