খাবার -কবুতরের গ্রিট কি এবং কেন খাওয়াতে হয় ,কিভাবে তৈরী করতে হয় ?

kobutor-grit, কবুতরের গ্রিট, গ্রিট কি , কবুতরের খাবার, গ্রিট কিভাবে তৈরী করতে হয়, কবুতরকে গ্রিট কেন খাওয়াতে হয়, গ্রিট খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তা, গ্রীট খাওয়ানোর উপকারীতা
কবুতরের গ্রিট

কবুতরের গ্রিট কি এবং কেন ? 

আজকের পোস্টে আমি আলোচনা করবো কবুতরের গ্রিট কি,কেন খাওয়াতে হয়, কিভাবে তৈরী করতে হয়, কবুতরের আদো গ্রীট খাওয়ানোর প্রয়োজন আছে কিনা এই বিষয় নিয়ে ।
গ্রীট কবুতরের হজম শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । বীজ বা শস্যদানার খোলস  কবুতরের হজমের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে । গ্রিট এই প্রতিবন্ধকতা দূর করে এবং হজমে সাহায্য করে । অনেকে মনে করে যে গ্রিট কবুতরের ডিম উৎপাদনে সাহায্য করে আসলে এই ধারণাটা সঠিক না । তবে গ্রিট কবুতরের বহুমুখি উপকার করে থাকে । কবুতররের হজম শক্তি ঠিক রাখা কবুতর সুস্থ রাখার অন্যতম প্রধান শর্ত ।

গ্রিট সাধারণত দুই ধরনের মিশ্রণে তৈরী করা হয়,

১) দ্রবণীয় ২) অদ্রবণীয়

 দ্রবণীয়ঃ  সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলার গুঁড়ো ,লবণ,  কাঠকয়লা, ঝিনুক শেল, সুমুদ্রের ফেনা(cat fish), পোড়া মাটি, ডিমের খোসা, ইত্যাদি । দ্রবণীয় উপাদান শরীরে হজম হয়ে যাই ।

 অদ্রবণীয়ঃ ইটের গুরা(চালের সমান),  চুনা পাথর (লাইম স্টোন) ইত্যাদি । অদ্রবণীয় উপাদান পড়ে পায়খানার সাথে বের হয়ে যাই ।

সতর্কতাঃ

 ঝিনুক শেল, কাঠকয়লা, সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলার গুঁড়ো, সুমুদ্রের ফেনা(cat fish), ডিমের খোসা, ইত্যাদি তে সাল্মলিনা সহ নানা রোগের  জীবাণু থাকতে পারে, তাই এগুলো মিক্স করার আগে ১/২ ঘণ্টা ভাল করে গরম পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে ।

গ্রিট তৈরি পদ্ধতিঃ 


প্রথমে আপনাকে  ইটের গুড়া ভাল করে ৩ ধরনের চালনি দিয়ে ভাল করে চেলে নিতে হবে । এবার  সেগুলোকে লবন বা পটাস পানিতে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে । এরপর তা চুনের পানিতে (খাবার চুনে) ভিজাতে হবে । পানি পুরোপুরি শোষিত হলে, এর পর সেটাকে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে যাতে কোন ভিজা না থাকে । এরপর ঝিনুক শেল, সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলার গুঁড়ো, কাঠকয়লা, সুমুদ্রের ফেনা (cat fish), ডিমের খোসা, ইত্যাদি মিক্স করতে হবে , অবশ্যই খেয়াল করে এই জিনিসগুলো আগে  ১/২ ঘণ্টা ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে । (তারপর সেগুলোকে ভেঙ্গে মিশাতে হবে) এরপর সেগুলোকে ছোট করে ভেঙ্গে নিতে হবে যাতে চালের মত আকার হয় । পরে সেগুলো শুকিয়ে সেগুলোর সাথো পোড়া মাটি, dcp, লবন মিক্স করতে হবে । নিম্নে কোন উপাদান কি পরিমান মেশাবেন তার বর্ণনা দেয়া হলো ।

পরিমাণঃ
ইটের গুড়ো ১৫ কেজি।(ছাকার পর)।
৫০%সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলার গুঁড়ো ৩ কেজি।
(সামুদ্রিক ঝিনুকের পাওয়া না গেলে ঝিনুক শেলের পরিমান বাড়িয়ে দিতে হবে।)
 ১৫%সুমুদ্রের ফেনা(cat fish) ২ কেজি।
১০%ঝিনুক শেল, ২-৩ কেজি।
৫%ডিমের খোসা ১০ থেকে ১৫ টি।
১%Dcp ১ কেজি। (দানাদার usa টা নিবেন)
০৮%পোড়া মাটি ২ কেজি।
৫% (যদি সম্ভব হয়)।
আয়োডিন লবন ৫০০ গ্রাম।
সোডা লাইম ৫০০ গ্রাম।
৩%বিট লবন ২৫০ গ্রাম।
৩%কাঠ কয়লা ২00 গ্রাম

পরিমান টি আপনার পছন্দ মত ঠিক করে নিতে পারেন কমবেশি করে।

অবশ্যাই গ্রিট কিনতে ও পাওয়া যায় তবে আমার গ্রিট নিজে তৈরী করে নেয়াই ভালো ।
গ্রিট ২ থেকে ৩ দিন পর পর দিতে পারেন ।  গ্রীট মাঝে মাঝে রোদে শুকাতে দিবেন যাতে পাঙ্গাস না পড়ে । 
.
.

tag:কবুতরের গ্রিট, গ্রিট কি , কবুতরের খাবার, গ্রিট কিভাবে তৈরী করতে হয়, কবুতরকে গ্রিট কেন খাওয়াতে হয়, গ্রিট খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তা, গ্রীট খাওয়ানোর উপকারীতা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ