পোষা কবুতর( দেশি কবুতর ও ফেন্সি কবুতর)

পোষা কবুতর( দেশি কবুতর ও ফেন্সি কবুতর)

ফেন্সি কবুতর

আগের পোস্টে আমরা বুনো কবুতর নিয়ে আলোচনা করেছি আজ আমরা পোষা কবুতর নিয়ে আলোচনা করব। পোষা কবুতরের বৈজ্ঞানিক নাম ( Columba Livia Domestica) , সকল পোষা কবুতরের উৎপত্তি বুনো কবুতর থেকে ।বিবর্তনবাদের জনক চার্লস ডারউইন এর তত্ব অনুসারে ,কবুতর প্রজাতির পাখির মাংসের স্বাদের কারনে মানুষের মনে কবুতর পোষার ধারণা জন্মে ,এছাড়া কবুতর শিকার করাটা ও খুব কঠিন ব্যাপার ছিল। আদিম মানুষ কবুতর ধরে পুষতে শুরু করে । এভাবে বুনো কবুতর মানুষের সংস্পর্শে তাদের বাসস্থানে চলে আসে । বিবর্তনের ধারায় যে কবুতরগুলো মানুষ পোষ মানিয়েছিল, তারা বংশপরিক্রমায় আজকের পোষা কবুতরে পরিণত হয়েছে ।

পৃথিবীতে প্রায় ৩১০এর অধিক প্রজাতির কবুতর সন্ধান পাওয়া গেছে।এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশেই পাওয়া যায় ৩০ জাতের কবুতর । এছাড়া ক্রস ব্রিডিং করে নতুন নতুন জাতের সৃষ্টি করা হচ্ছে । বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন কিছু কবুতরের নাম হলো ; গোলা, গিরিবাজ,মুকি, চিলা, ঝর্ণা সার্টিন , ম্যাগপাই , জেকোবিন, হোমার, লক্ষা, ফ্যানটেল,সিরাজি,কাগজি,পোটার,চুইনা, নান, শর্টফেস,কিং,দোপাজ,মুসল,দম,কাল দম,সেক্সন,ইত্যাদী ।

কবুতর সাধারনত দুই ভাবে পালা যায় ১। খাচায় ২।মুক্ত বা ছাড়া পদ্ধতিতে।
যে সব কবুতর ভালো উড়তে পারে , আত্নরক্ষা করতে পারে , সহজে পরিবেশে খাপ খায় অর্থাৎ দেশীয় জাতের কবুতর ছেড়ে পালা হয়।যেমন গোলা, গিরিবাজ,চুল্লি ইত্যাদী।
আর যে সব কবুতর নরম স্বভাবের , ভালো আত্নরক্ষা করতে পারে না, ভালো উড়তে পারে না , কিন্তু দেহের গঠন ও পালক দেখতে খুবই সুন্দর , আকর্ষণীয় ,দামে অনেক বেশি সে গুলো হলো ফেন্সি কবুতর আর সে গুলো খাচায় পালা হয় ।যেমন ঝর্ণা সার্টিন, ম্যাগপাই, জেকোবিন, হোমার, লক্ষা ইত্যাদী ।

পরবর্তী পোস্টে কিছু কমন কবুতর সম্পর্কে বিস্তারিত পোস্ট করা হবে।

ফ্রিলব্যাক



ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ