কবুতর পরিচিতি

কবুতর পরিচিতি

kobutor-porichity

কবুতর পরিচিতি

সারা বিশ্বে কবুতর একটি  জনপ্রিয় সুপরিচিত  গৃহপালিত পাখি।কবুতরের এই জনপ্রিয়তার অন্যতম প্রধান কারণ তার অসাধারণ  নৈসর্গিক, বাহ্যিক   সৌন্দর্য, ও তার কোমল আচরণ, এবং সুস্বাদু মাংস ।
সারা বিশ্বে কবুতরকে শান্তির পথিক হিসেবে ধরা হয়। প্রাচীনকালে এই কবুতর ছিলো যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।
এখনো সারা বিশ্বে অনেকে শুভ-উদ্বোধন অনুষ্টান সূচনা করেন কবুতর ছাড়ার মাধ্যমে।

কবুতর ও ঘুঘু  পাখি প্রজাতি(Aves) এর Columbidae দলের অন্তরভুক্ত। গৃহপালিত কবুতরের বৈজ্ঞানিক নাম Columba Livia Domestica। সব গৃহপালিত কবুতর মুলত বুনো কবুতর থেকে উদ্বুত। বুনো কবুতরের এর নাম Columba Livia। সাধারনত দুই ধরনের কবুতর দেখা যায়, পোষা কবুতর ও বুনো কবুতর।  কবুতর এবং ঘুঘু উভয়ই এই প্রজাতির অন্তরভুক্ত। এযাবত ৪২ টি উপভাগে মোট প্রায় ৩১০ প্রজাতির কবুতর সনাক্ত করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে ছোট প্রজাতিকে ঘুঘু এবং বড় প্রজাতিককে কবুতর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যদিও কবুতর ও ঘুঘুর মধ্যে যথেষ্ট মিল, অমিল রয়েছে। তবে ঐতিহাসিকভাবে কোনো পার্থক্য উল্লেখ করা হয়নি।
সারা বিশ্বে এই  প্রজাতির বৈশিষ্ট প্রায় একই।  তবে Indomalaya এবং Australasia ecozones  অঞ্চলের মধ্যে এদের বৈচিত্র ও সংখ্যায় সর্বাধিক পরিলক্ষিত হয়  ।

ঘুঘু সাধারনত ছোট আকৃতির, সাদা বা সাদার কাছাকাছি অর্থাৎ ধূসর বর্ণের বা হালকা বাদামী রংয়ের  হয়ে থাকে এবং কবুতর সাইজে ঘুুঘুর চেয়ে বড়,এবং বিভিন্ন রংয়ের হয়ে থাকে।

 এই প্রজাতিটির দেহ শক্ত, ঘাড় খাটো, খাটো বাকানো ঠোট, পা লাল রংয়ের হয়। এরা সাধারনত দানাদার জাতীয় খাবার খায়।
সাধারণত এরা গাছে, ঝোপে ঝাড়ে খড়কুটো, পালক, শুকনো আবর্জনা ইত্যাদি  দিয়ে বাসা বানায়। সাধারণত এরা একজোড়া ডিম পাড়ে। নর মাদি উভয়ই ডিমে তা দেয়। ঘুঘু ও কবুতরের  একটি অনন্য বৈশিষ্ট হলো এদের ক্রপে একধরনের পিজিয়ন মিল্ক তৈরী হয়। যা নর ও মাদি উভয়ই তৈরী করতে পারে। বাচ্চার জন্য আদর্শ খাবার।


কবুতর ও ঘুঘু সম্পর্কে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন।


ছবি ঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত।

tag: কবুতর পরিচিতি ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ