কবুতরের গোসল করানো

কিভাবে কবুতরের গোসল বা স্নান করাবেন, কবুতরের গোসল বা স্নান করানো নিয়ম

কবুতরকে গোসল করানো


কবুতরের ব্লগে আপনাদের স্বাগতম । আজকের পর্বে আমি কিভাবে কবুতরকে গোসল করাবেন সে বিষয় আলোচনা করবো ।
কবুতরের পুষ্টিকর খাবার,ভিটামিন ছাড়াও আর একটি গুরুত্তপূর্ণ একটা ব্যাপারে আছে যা আমরা অনেকেই খেয়াল রাখি না, আর সেটা হল কবুতর কে নিয়মিত স্নান বা গোসল করানো । যদিও ব্যাপারটা খুবই সাধারন মনে হতে পারে কিন্তু এর গুরুত্ত অনেক । নিয়মিত গোসল আপনার কবুতরকে  অনেক আনাখাংকিত রোগ বালাই থেকে নিরাপদ রাখবে ।

পায়রার মালিক তাঁর কবুতরকে কিভাবে গোসল/ স্নান দিবে তাঁর একটা নির্দশনা দেওয়া হলঃ

১। আপনি প্রায় হয়তো খেয়া করবেন যে আপনার কবুতর টি তাঁর পানির পাত্র টিতে গোসল করার চেষ্টা করছে এর এটা একটু ভাল মত কিভাবে করানো যাই? যেমন একটা মাপসই ক্লিন ট্রে ক্রয় বা বানাতে হবে, সেটা প্লাস্তিক অথবা টিনের বানাতে  পারেন । ট্রে টি কমপক্ষে বারো ইঞ্চি জুড়ে, সাত ইঞ্চি গভীর হলে ভালো হবে, পরিষ্কার জল দিয়ে তিন বা চার ইঞ্চি ট্রে পূরণ করুন, ছোট পায়রার প্রজাতির জন্য অগভীর ট্রে ব্যবহার করুন, দৈনিক বা মল মিশ্রিত হলে সঙ্গে সঙ্গে নোংরা জল পরিবর্তন করুন, জলের তাপমাত্রার ব্যাপারটা মনে রাখবেন, মাত্রাতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা জল ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে ঠান্ডার সময় হাল্কা গরম পানি দেয়া যেতে পারে।

২। আগে পায়রাকে আপনি গোসলের পানি অফার করুন, ধাপ এক এ উল্লিখিত হিসাবে একই কৌশল ব্যবহার করুন. স্নান আপনি ধীরে ধীরে আপনার পায়রা অভ্যস্ত করার জন্য পানি দিতে এবং আপনি এটি তাদের স্নান করার আগে তাদের সেটি প্রদর্শন করুন । সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন স্নান করাতে পারেন । তবে যারা কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চাই তারা অবশ্যই পাঁচ দিনের শো তারিখের আগে স্নান করান উচিৎ। এটা  পালকের তেলরং মুছে ফেলা হিসেবে এবং পায়রার উজ্জলতা ফিরে পেতে সাহায্য করবে।

৩। স্পট-ক্লিন বা পায়রার পালকের দাগ (বিশেষ করে সাদা পালক যেগুলোর আছে) মুছে ফেলার জন্য.  হালকা শ্যাম্পু (একটি ঔষধমিশ্র ছাড়া শ্যাম্পু ভাল কাজ করে) ব্যবহার করুন. গরম পানি এবং শ্যাম্পু  মিশ্রিত পানিতে একটি গামছা বা নরম কাপড় ভিজিয়ে তা পায়রার দাগী বা ময়লাযুক্ত পালকগুলো দেখে দেখে হালকাভাবে ঘযে ময়লা তুলে ফেলুন । তবে খেয়াল রাখবেন যাতে পানি কবুতরের মুখে যাতে না যায় ।

 যদি কবুতরের শরীরে পোকা/উকুন/মাইট ইত্যাদি হয়ই তাহলে, নিম পাতা সিদ্ধ করে পানি নরমাল করে স্নান এর জন্য দিতে পারেন,ফিটকারি/পটাস/ ডেটল মিক্স পানিও এক্ষেত্রে ভাল কাজ করে। অথবা English shampoo, দিয়া স্নান করাতে পারেন এটা খুব ভাল কাজ করে। তবে শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করানর পর ভাল ভাবে সাধারন পানি দিয়ে পরিস্কার করে নিবেন। ঠাণ্ডার সময় তোয়ালে অথবা হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে ভাল করে শুকিয়ে নিতে পারেন। আঘাত প্রাপ্ত কবুতরকে গরম পানির সাথে একটু অ্যান্টিসেপ্তিক মিক্স করে ধুয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যাই। সুস্থ কবুতর কে যদি স্নান করান সম্ভব নাও হয় তাহলে পা ধুয়া এবং নরমাল পানি দিয়ে স্প্রে করা উচিৎ।

কবুতরের গোসলের উপকারিতাঃ

) স্নান কবুতরের ময়লা দূর করার সাথে সাথে এর শরীরে লেগে থাকা রোগ জীবাণু/ ফাঙ্গাস/ ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি ধুয়ে যাই।
) স্নান কবুতরের শরীরে পানি শূন্যতা রোধ করে।
) স্নান কবুতরের শরিরকে চকচকে রাখে।
) ডিমে তা দেয়া কবুতরের জন্য স্নান অতি জরুরি,এতে ডিমের আদ্রতা বজাই থাকে ও ডিম ফুটতে সাহায্য করে।
) স্নান দেবার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কানে পানি না যাই। (যখন নিজেস্নান দিবেন)।
) স্নান স্ট্রেস মুক্ত রাখবে আপনার কবুতরদের।
) কবুতর দের স্নান দিবার পর রোদে কিছুক্ষন রাখার ব্যাবস্থা করা, আর সম্ভভ হলে রোদের মধ্যেই স্নান এর বাবস্থা করা।


সতর্কতাঃ
ভেজা অবস্থায় কবুতরকে খাচাঁয় বেধেঁ রাখবেন না
শ্যাম্পু দিয়ে কখনও স্প্রে করবেন না।
অ্যান্টি জীবাণু মুক্ত ঔষধ দিয়ে গোসল দিবেন না।
অতিরিক্ত কোন ঔষধ যার সম্পর্কে আপনার জ্ঞান নাই সেগুল দিয়ে গোসল দিবেন না।
ঠাণ্ডার সময় কুসুম গরম পানি ব্যাবহার করতে পারেন।বেশি ঠাণ্ডার সময় গোসল না করানোয় ভাল।

tag: কবুতরকে গোসল করানো, কবুতরের স্নান, কবুতরের গোসল করানোর নিয়ম, কিভাবে কবুতরকে গোসল বা স্নান দিবেন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ