কবুতরের জ্বর

pigeon fever, kobutorer jhor, কবুতরের জ্বর, কবুতরের জ্বরের লক্ষণ, কবুতরের জ্বর চিকিৎসা,

কবুতরের জ্বর

কবুতরের জ্বর

কবুতরের জ্বর হওয়া কমন একটা রোগ।আজকে আমি কবুতরের জ্বরের কারন, লক্ষণ , কবুতরের জ্বর হলে আপনার কবুতরকে করণীয় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

  কবুতরের জ্বরের লক্ষণ:

১) লোম ফুলিয়ে মাথা গুঁজে ঝিমায়, হালকা কাপুনি ভাব থাকতে পারে। ঘন ঘন শ্বাস নিতে পারে। পাখা ঝুলে যেতে পারে ও লেজ নামান থাকবে।

২) ঠোঁট ও মুখ সাদা ফ্যাকাসে বা পাংসেটে ভাব বা লাল হতে পারে। তার সাথে বমি ভাব থাকতে পারে। আর মুখে বা বমিতে টক ঘন্ধ থাকতে পারে।

৩) গায়ের তাপমাত্রা ১০৬ ডিগ্রি বা তার বেশী হতে হবে। এজন্য আগে থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর পরিমাপ করা দরকার। আর এ ক্ষেত্রে পিছনে থার্মোমিটার ঢুকিয়ে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে।

৪) পায়খানা সবুজ সাদা বা সবুজ পাতলা বা সাদা পানির মত হতে পারে।

৫) বাতাস বা ঠাণ্ডা বা আলো পছন্দ করবে না। খাঁচার এক কোনে পা তুলে বা চুপ করে বসে থাকবে অথবা খাঁচার মেঝেতে বসে থাকতে পারে।

৬) আঘাত পা প্রদাহ জনিত হলে সেই জায়গাটিতে ঠোঁট দিয়ে বার বার চুলকান বা সে নিজে মুখ ঘষার চেষ্টা করবে।

৭) হটাত বাচ্চা খাওয়ান বন্ধ করে দিতে পারে বা ডিমে তা দিয়া বন্ধ করে দিতে পারে।

৮) অনেক সময় এই রোগ থেকেই ক্যানিবলিজম রোগের সৃষ্টি হতে পারে আর তা হলে কবুতরের বাবা-মা বাচ্চাদের লোম তুলে রক্ত সহ খেতে দেখা যায়।

৯) এই রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় কবুতরের স্বাভাবিক সেন্স কাজ কম করে হটাত উল্টে পড়ে যেতে পারে, বা হাঁটার সময় কারসাথে ধাক্কা খেয়ে পরে যাবার মত ঘটনা দেখা যায় যদিও অনেকেই টাল রোগ কে এর সাথে মিক্স করে ফেলতে পারেন এটি দুর্বলাতা এরূপ হতে দেখা যায়।

চিকিৎসা ও প্রতিকারঃ


চিকিৎসা ও প্রতিকারের জন্য এই রোগের ইতিহাস জানা খুন জরুরি এই ঘটনা যদি আপনি সঠিক ভাবে নির্ণয় করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য এর চিকিৎসা ও প্রতিকারের ব্যবস্থা করা সহজ হয়ে যাবে।

১) CALVIMAX Plus/CALBON Plus/OSTOGEN Plus/MULTICAL/IPICAL-M (Human calcium supliment) যে কোন এক ধরনের ট্যাবলেট ১/২ করে দিনে ২ বার দিতে হবে ৭ দিন। অথবা আপনি যদি ইঞ্জেক্সন দিতে সাছন্দ বোধ করেন তাহলে Calcium Jayson ইঞ্জেক্সন ৩-৪ মিলি করে দিনে ১ বার ৪-৫ দিন দিতে পারেন।

২) বমি সহ জ্বর কবুতর হালকা কাঁপে এমন অবস্থায় হোমিও Ipicac 200, ১-২ ফোঁটা করে দিনে ৩-৪ বার খাওয়াতে হবে, ৪-৫ দিন।

৩) ঘা বা কাটা ছিঁড়ার কারনে বা পর বা নখ কাটতে গিয়ে রক্ত বা অন্য কোন প্রদাহ জনিত জ্বরে হোমিও Belodona 30, ১-২ ফোঁটা করে দিনে ৩-৪ বার খাওয়াতে হবে, ৪-৫ দিন। আঘাত জনিত জ্বরে যেমনঃ- খাচাতে পা আঁটকে ভেঙ্গে গেলে/ কোন আঘাত পেলে ইত্যাদি কারনে জ্বর হলে বা ডিম পারার পর এই অবস্থা দেখা গেলে হোমিও Arnica-mont 30,১-২ ফোঁটা করে দিনে ৩-৪ বার খাওয়াতে হবে, ৪-৫ দিন।

৪) যারা হোমিও খাওয়াতে চান না তারা Cotrim-Vet Suspension ১/২ মিলি+স্যালাইন ১/২ গ্রাম=৩-৪ মিলি পানিতে মিক্স করে দিনে ২-৩ বার ৪-৫ দিন দিতে পারেন।

৫) Enflox-Vet Solution ৪-৫ ফোঁটা+১ গ্রাম স্যালাইন=৩-৪ মিলি পানিতে মিক্স করে ২-৩ বার ৩-৪ দিন প্রয়োগ করতে হবে। যদি ৪ নং চিকিৎসাতে ২-৩ দিনের মধ্যে কোন পরিবর্তন না হয়, তাহলেই কেবল এই চিকিৎসা করা যেতে পারে।

ভালো থাকুক আপনার কবুতর এই কামনায় এখানে শেষ করছি।আল্লাহ হাফেজ।

TAG:pigeon fever, kobutorer jhor, কবুতরের জ্বর, কবুতরের জ্বরের লক্ষণ, কবুতরের জ্বর চিকিৎসা,


source: internet.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ