ইতিহাসে কবুতর
ইতিহাস বিখ্যাত বাঘা বাঘা ব্যাক্তিদের মধ্যে অনেকেরই কবুতর ব্যবহার করার ইতিহাস রয়েছে। কবুতরের ব্যবহারে তারা খুব দক্ষ ছিলেন। বার্তা আদান-প্রদান এবং গোপন কাজের জন্য কবুতর ছিল অদ্বিতীয় এবংবিশ্বস্ত মাধ্যম। এই সব গুরুত্বপূর্ণ কাজে তারা কোনো সাধারণ কবুতর ব্যবহার করতেন না। খুব সম্ভবত তারা "হোমার" জাতের কবুতর ব্যবহার করতেন। আর "হোমার" হচ্ছে এমন জাতের কবুতর যে নিজের জীবন দিয়ে হলেও তার কর্তব্য পালন করে যাবে। এদের ডানার গঠন অন্য কবুতরের চেয়ে আলাদা। এরা অন্য কবুতরের চেয়ে অনেক বেশি দূর পাড়ি দিতে সক্ষম ।
হোমার কবুতর সম্পর্কে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ইতিহাস বিখ্যাত রোমান সেনাপতি জুলিয়াস সিজার তার শয়নকক্ষে কবুতর রাখতেন। জুলিয়াস সিজার এর শতাধিক বিশ্বস্ত "হোমার" কবুতর ছিল। এইসব কবুতরেরর জন্য তিনি ১০ জন কেয়ার টেকার এবং ২জন বিখ্যাত প্রশিক্ষক নিয়োগ করে ছিলেন। এইস কবুতর তিনি সুদুর প্যারিস ও গ্রীসে পাঠাতেন। যুদ্বক্ষেত্র থেকে প্রাসাদেও খবর পাঠাতেন এইসব কবুতরের মাধ্যমে।
মুঘল বংশের সম্রাট বাদশা আকবর ছিলেন আর এক তুখোড় কবুতরবাজ। তার প্রাসাদে প্রায় ২০,০০০ এর অধিক কবুতর ছিল। এদের মধ্যে আশকি, পারিজাত, আলমাস জাতের কবুতর ছিলো যা এখন খুবই বিরল, প্রায় বিলুপ্তির পথে এবং যার মুল্য বর্তমানে কোটি টাকার উপরে।কবুতরগুলোকে তিনি নিজ হাতে খাওয়াতেন। এই কবুতরগুলো উড়ন্ত অবস্থায় ঠানা ১৫টি ডিগবাজি দিতে পারতো।
বিখ্যাত মঙ্গোলীয় বীর চেঙ্গিস খান এর ৫০০ এর বেশী হোমার কবুতর ছিলো।৩০০০ এরও অধিক দূরত্বে তিনি কবুতর প্রেরন করতেন। তার কবুতর গুলো ফিরে আসতে ৭ দিনের বেশি সময় লাগতো না। তার কবুতর গুলো অসাধারণ খেলা দেখাতে পারতো।
টিপু সুলতান তার যুদ্বের নির্দেশাবলী পাঠাতেন কবুতর দিয়ে।শ্রীরঙ্গ পাটনার জামে মসজীদের সামনে তিনি তার কবুতরগুলোকে অভ্যর্থনা জানাতেন। তার কবুতরের সংখ্যা ছিলো ১০০০এর অধিক। এখনও ঐ মসজিদের সামনে হাজার হাজার কবুতর চোখে পড়ে।
tag: পৃথিবীর ইতিহাসে কবুতর
ইতিহাস বিখ্যাত বাঘা বাঘা ব্যাক্তিদের মধ্যে অনেকেরই কবুতর ব্যবহার করার ইতিহাস রয়েছে। কবুতরের ব্যবহারে তারা খুব দক্ষ ছিলেন। বার্তা আদান-প্রদান এবং গোপন কাজের জন্য কবুতর ছিল অদ্বিতীয় এবংবিশ্বস্ত মাধ্যম। এই সব গুরুত্বপূর্ণ কাজে তারা কোনো সাধারণ কবুতর ব্যবহার করতেন না। খুব সম্ভবত তারা "হোমার" জাতের কবুতর ব্যবহার করতেন। আর "হোমার" হচ্ছে এমন জাতের কবুতর যে নিজের জীবন দিয়ে হলেও তার কর্তব্য পালন করে যাবে। এদের ডানার গঠন অন্য কবুতরের চেয়ে আলাদা। এরা অন্য কবুতরের চেয়ে অনেক বেশি দূর পাড়ি দিতে সক্ষম ।
হোমার কবুতর সম্পর্কে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ইতিহাস বিখ্যাত রোমান সেনাপতি জুলিয়াস সিজার তার শয়নকক্ষে কবুতর রাখতেন। জুলিয়াস সিজার এর শতাধিক বিশ্বস্ত "হোমার" কবুতর ছিল। এইসব কবুতরেরর জন্য তিনি ১০ জন কেয়ার টেকার এবং ২জন বিখ্যাত প্রশিক্ষক নিয়োগ করে ছিলেন। এইস কবুতর তিনি সুদুর প্যারিস ও গ্রীসে পাঠাতেন। যুদ্বক্ষেত্র থেকে প্রাসাদেও খবর পাঠাতেন এইসব কবুতরের মাধ্যমে।
মুঘল বংশের সম্রাট বাদশা আকবর ছিলেন আর এক তুখোড় কবুতরবাজ। তার প্রাসাদে প্রায় ২০,০০০ এর অধিক কবুতর ছিল। এদের মধ্যে আশকি, পারিজাত, আলমাস জাতের কবুতর ছিলো যা এখন খুবই বিরল, প্রায় বিলুপ্তির পথে এবং যার মুল্য বর্তমানে কোটি টাকার উপরে।কবুতরগুলোকে তিনি নিজ হাতে খাওয়াতেন। এই কবুতরগুলো উড়ন্ত অবস্থায় ঠানা ১৫টি ডিগবাজি দিতে পারতো।
বিখ্যাত মঙ্গোলীয় বীর চেঙ্গিস খান এর ৫০০ এর বেশী হোমার কবুতর ছিলো।৩০০০ এরও অধিক দূরত্বে তিনি কবুতর প্রেরন করতেন। তার কবুতর গুলো ফিরে আসতে ৭ দিনের বেশি সময় লাগতো না। তার কবুতর গুলো অসাধারণ খেলা দেখাতে পারতো।
টিপু সুলতান তার যুদ্বের নির্দেশাবলী পাঠাতেন কবুতর দিয়ে।শ্রীরঙ্গ পাটনার জামে মসজীদের সামনে তিনি তার কবুতরগুলোকে অভ্যর্থনা জানাতেন। তার কবুতরের সংখ্যা ছিলো ১০০০এর অধিক। এখনও ঐ মসজিদের সামনে হাজার হাজার কবুতর চোখে পড়ে।
0 মন্তব্যসমূহ